মানিকগঞ্জে যুবদল নেতা ফজলুল করিম শামীমকে গ্রেপ্তার ও ‘মিডিয়া ট্রায়ালের’ প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা যুবদলের নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠ করেন জেলা যুবদলের আহ্বায়ক তুহিনুর রহমান তুহিন। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গত ১৬ মার্চ বিকেলে মানিকগঞ্জ শহরের উত্তরা ব্যাংকের মোড়ে ওয়ানওয়ে সড়কে যাওয়া নিয়ে যুবদল নেতা ফজলুল করিম শামীমের সঙ্গে ট্রাফিক কনস্টেবল রফিকের বাকবিত-া হয়। এক পর্যায়ে শামীম অটোরিকশা থেকে নেমে যাওয়ার পর পুলিশ চাবি নিয়ে রং সাইডে আসার কারণে রিকশা ডাম্পিং দিতে চাইলে শামীমের প্রতিবাদ করে। এই প্রতিবাদকে কেন্দ্র করেই পুলিশের সঙ্গে শামীমের চরম বাকবিত-া হয়। এক পর্যায়ে ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে যুবদল নেতা ও তাঁর স্ত্রী পুলিশের কাছে ক্ষমা চান। কিন্তু পুলিশ যুবদল নেতা শামীমকে থানায় নিয়ে যায়। এরপর রাতে জেলা যুবদলের আহ্বায়ক তুহিনুর রহমান থানায় গেলে শামীমের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হবে না বলে আশ্বস্ত করে। পরবর্তীতে সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগে মধ্যরাতে পুলিশ কনস্টেবল বাদী হয়ে মামলা করেন। পরেরদিন সোমবার আদালতের মাধ্যমে শামীমকে জেল হাজতে পাঠানো হয়। জেলা যুবদলের আহ্বায়ক তুহিনুর রহমান বলেন, ‘তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে যুবদলকে জাতির সামনে হেয় করতে পুলিশ পরিকল্পিতভাবে মামলা দিয়ে শামীমকে জেলে পাঠিয়েছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। মিথ্যা বানোয়াট মামলায় আটক যুবদল নেতা শামীমকে দ্রুত মুক্তি দিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যদের আইনের আওতায় আনার দাবি করছি। জেলা যুবদলের সদস্য সচিব কাজী মোস্তাক হোসেন দিপু বলেন, ‘এই ঘটনায় কিছু সাংবাদিকের মিডিয়া কাভারেজ দেখে আমাদের মনে হয়েছে গত ১/১১–এর মতো যুবদল এবং বিএনপি মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার হচ্ছে। আমরা বরাবরের মতো আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কোনো অপরাধ ঘটে থাকলে আমরা চাই তদন্তের মাধ্যমে সমাধান হোক। মিডিয়ায় সত্যতার বাইরে গিয়ে অসত্যকে হাইলাইট করার তীব্র নিন্দা জানাই। সংবাদ সম্মেলনে মানিকগঞ্জ জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জিয়াউদ্দিন আহমেদ কবির, যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ পারভেজ, সাবেক ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান প্রিন্সসহ জেলা, সদর, পৌর ও ওয়ার্ড পর্যায়ের যুবদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিল।