মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৯:০৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
শামছুর রহমান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বৃক্ষ রোপণ উদ্বোধন করেন মেজর অব. মেসবাহুল ইসলাম ইলন মাস্কের রাজনৈতিক দল গঠনের উদ্যোগ ‘হাস্যকর’ : ট্রাম্প ফ্রান্সে বাংলাদেশ দেশ কমিউনিটির সমাবেশ ও মেধাবীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ এবার ভারতীয় মিডিয়ায় ড. ইউনূস বন্দনা! নেপথ্যে কী? অগ্রগতি ছাড়াই শেষ ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের আলোচনা সেন্টমার্টিন-টেকনাফে পানিবন্দি দুই হাজার মানুষ কেউ কেউ সীমা লঙ্ঘন করেছেন, সেটা হয়তো ভিন্নভাবে দেখা হবে রাষ্ট্র সংস্কারের সব বিষয়ে আমরা একমত হবো না: আলী রীয়াজ নির্বাচন যত দেরি হবে, দেশ তত পিছিয়ে যাবে: মির্জা ফখরুল শুধু এশিয়া না, বাংলাদেশকে বিশ্বমঞ্চে নিতে চাই: ঋতুপর্ণা

২০২৫-২৬ অর্থবছরে পাট চাষের জমির লক্ষ্যমাত্রা ৭.০৫ লাখ হেক্টর

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫

আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরে পাট চাষের জন্য জমির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ দশমিক ০৫ লাখ হেক্টর। এই জমিতে চাষাবাদের জন্য পাট বীজ প্রয়োজন ৫ থেকে ৬ হাজার টন। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিজেআরআই) কৃষি উইং আয়োজিত ‘বার্ষিক অভ্যন্তরীণ গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালা-২০২৫’ অনুষ্ঠানে বক্তারা এ সব তথ্য জানান।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে পাটের মোট উৎপাদন ১৫ লাখ মেট্রিক টন, পাটকাঠির মোট উৎপাদন ৩০ লাখ মেট্রিক টন, চারকোলের উৎপাদন ৬ লাখ মেট্রিক টন।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বলেন, পাট নিয়ে অনেক কিছু করার আছে, পাটের সম্ভাবনা কোনোদিন শেষ হবে না। কাঁচা পাট নিয়ে অন্যান্য দেশ কীভাবে কাজ করছে তার উপরেও মার্কেট রিসার্চে গুরুত্ব দেয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, মার্কেট এবং বাস্তবতার নিরিখে গবেষণা করতে হবে।
কৃষি সচিব আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ সেক্টর এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান একত্রিত হয়ে কাজ করলে পাটের গবেষণা আরও এগিয়ে যাবে। তিনি বলেন, পাট শুধু অর্থকরী ফসল নয়, পাট বাংলাদেশের গর্ব, বাংলার পরিচিতির মাধ্যম। পৃথিবীর অন্য প্রান্তের দেশ কিউবাও বাংলাদেশ থেকে পাট আমদানি করে দুইটি কারখানা তৈরি করেছে। চাহিদা থাকা সত্ত্বেও পৃথিবীর অনেক দেশ পাট উৎপাদন করতে পারে না সেদেশের পরিবেশের কারণে। সে হিসেবে পাটের জন্য বাংলাদেশ আশীর্বাদপুষ্ট।
সভাপতির বক্তব্যে বিজেআরআই’র মহাপরিচালক ড. নার্গীস আক্তার বলেন, ‘পাট কেবল আমাদের সোনালি আঁশ নয়, আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্যের এক সোনালি অধ্যায়। সূচনালগ্ন থেকে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট মোট ৫৭ জাতের ২২৩টি কৃষি প্রযুক্তি এবং ৬৯টি শিল্প ও কারিগরি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে।
পাট কৃষিজাত পণ্য হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় চাষীরা কৃষিঋণের মতো পাটঋণ এবং পণ্য রপ্তানিতে সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে। সরকার থেকে ২০ ভাগ নগদ প্রণোদনা পায় চারকোল রপ্তানিকারকরা। বাংলাদেশে প্রায় ৫০টি চারকোলের কারখানা রয়েছে। বর্তমানে কিছু কারখানা বন্ধ আছে-বলে বিজেআরআই সভাপতি উল্লেখ করেন।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (গবেষণা অনুবিভাগ) মো. আবু জুবাইর হোসেন বাবলু, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. নাজমুন নাহার করিম এবং শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আব্দুল লতিফ।
কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বিজেআরআই’র প্রজনন বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. গোলাম মোস্তফা এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিজেআরআই’র জেনোম গবেষণা কেন্দ্রের সমন্বয়ক ও মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এস. এম. মাহবুব আলী।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com