রংপুর বদরগঞ্জ উপজেলার ১০নং মধুপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের দলপাড়া গ্রামের একটি কাঁচা রাস্তা ইচ্ছাকৃতভাবে চলাচলের অনুপযোগী করার অভিযোগ উঠেছে। বরাদ্দের অর্থ তড়িঘড়ি করে খরচ করার উদ্দেশ্যে কাদামাটি দিয়ে রাস্তাটি ভরাট করা হয়েছে বলে জানা গেছে। স্থানীয়রা বলছেন, ভরা বর্ষায় চারিদিকে থৈ থৈ করা জলের নিচথেকে কর্দমাক্ত মাটি রাস্তায় ফেলা হয়েছে। এতে ওই গ্রামের প্রায় ২ হাজার মানুষ বিপাকে পড়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্র বলছে, আধাকিলোমিটার রাস্ত সংষ্কারের জন্য ২ লাখ টাকা বরাদ্দ পান স্থানীয় ইউপি সদস্য আমিরুল ইসলাম। এরপর রাস্তার দুইধারের ফসলি জমি থেকে কাদামাটি তুলে ৬০০ ফিট রাস্তা ভরাট করেন স্থানীয় এই জনপ্রতিনিধি। শাকিল নামে স্থানীয় একজন বাসিন্দা বলেন, ‘‘এই রাস্তাটি এমনিতেই খানাখন্দকে ভরা, ইটভাটার অতিরিক্ত গাড়ির দাপটে চলা মুশকিল, কেউ অসুস্থ্য হলে ভ্যানে করে ওনরাস্তা হয়ে হাসপাতালে যেতে আরও বেশি অসুস্থ্য হয়ে যায়। সেই আধামরা রাস্তাকে একেবারে মেরে ফেলা হয়েছে। জনপ্রতিনিধীদের খামখেয়ালির কারনে ২ হাজার মানুষ এখন দুর্বিসহ জীবন যাপন করছে‘‘। দলপাড়ার বাসিন্দা আইনুল হক বলেন, ‘‘এই রাস্তায় খুব কষ্ট করে চলাচল করতে হয়। শুকনা দিনে ধুলোর স্তুপ আর বৃষ্টির মৌসুমে হাটু পর্যন্ত ঢুবে যায়। এমন অসুবিধার মধ্যে এখন মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে উঠেছে এই কাদাদিয়ে ভরাট করা রাস্তা‘’। মোস্তাফিজার নামে একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘’ ভাইরে কি আর কইম দুঃখের কথা, কাদো দেখি বসি কান্দিবার মোনাওচে”। প্রায় একই কথা রকম কথা বলছেন স্থানীয় অনেকেই। এই ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তনার ছবি ও ভিডিও বিভিন্ন জনের ফেসবুকে বিভিন্ন ব্যাঙ্গাত্তক ক্যাপশনে ছড়িয়ে পড়েছে। বর্ষা মৌসুমে কেনো রাস্তাটি সংষ্কার করার প্রয়োজন পড়লো তা জানতে স্থানীয় ইউপি সদস্য গণমাধ্যমকে বলেন, যারা ফেসবুকে রাস্তার ছবি দিয়েছে তাদের নামে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।