প্রায় সাড়ে চার বছর পর জাতীয় দলে ফিরেছেন। শেষ ওয়ানডে খেলেছিলেন ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে নেলসনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। তারপর দীর্ঘ বিরতি। সেই বিরতি কাটিয়ে ফিরেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৪৫ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন নুরুল হাসান সোহান। গত জুলাইয়ে হারারেতে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচে তার ওই ইনিংসটি তিনশোর্ধ্ব লক্ষ্য তাড়া করতে রেখেছিল বড় ভূমিকা। নতুন করে তার উপস্থিতি জানানও দিয়েছেন তাতে। এরপর জিম্বাবুয়ের মাটিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও খেলেছেন। খেলেছেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এই দুই সিরিজে সেঞ্চুরি বা হাফসেঞ্চুরি করতে না পারলেও মাঠে সোহানের কিপিং আর প্রাণবন্ত উপস্থিতি দলকে চাঙা রেখেছে।
তিনি যে পজিশনে খেলেন, দায়িত্বটা আসলে ফিনিশারের। তাই বড় রান নিয়ে দুশ্চিন্তা করছেন না সোহান। ২৭ বছর বয়সী এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানের বরং দলের জন্য যে কোনোভাবে অবদান রাখার লক্ষ্য। তাই মুখে এমন কথা, ‘আমার কাছে সব সময়ই মনে হয় দলের জন্য কার্যকর কিছু করা অনেক জরুরি। নিজে ৫০ কিংবা ১০০ করলাম, কিন্তু দল হারল, তাতে তো দলের কোনো উপকার হবে না। তার চেয়ে দল জেতানোয় অবদান রাখা বড়। সেটা যদি ৫/১০ রানও হয়, আর তাতে যদি দলের উপকার হয়, আমার কাছে অনেক বড়।’
জিম্বাবুয়ে আর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সোহানের নিয়মিত সুযোগ পাওয়ার বড় একটা কারণ, অভিজ্ঞ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহীমের অনুপস্থিতি। মুশফিক ফিরছেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে। তাই সোহানের কপাল পুড়তে পারে। তবে এসব নিয়ে ভাবেন না তরুণ এই উইকেটরক্ষক। ড্রেসিংরুমে এই সুস্থ লড়াইটাকে ইতিবাচকই মনে করছেন তিনি। দলের যে ১১ জন খেলে, তাদের সবসময়ই অন্যরা সমর্থন দেয়, জানালেন সোহান। তিনি বলেন, ‘চ্যালেঞ্জিং বা কম্পিটিশন বলতে বাংলাদেশ টিমের ড্রেসিংরুম খুব ভালো একটা অবস্থায় রয়েছে। আমরা ১৫ জন বা ২০ জন, যে কয়জনই থাকি; তারপরও সবাই চাই যে ১১ জন খেলছে তারা যেন ভালো করে। যেটা দল হিসেবে খুব গুরুত্বপূর্ণ।’