লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে আম পাড়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ ৫ জন মারাত্নক জখম হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৩ নারী ২ জন পুরুষকে প্রথমে রায়পুর সরকারি হাসপাতাল হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার বিকেলে উপজেলার চরআবাবিল ইউপির উদমারা গ্রামের মনছুর আলী মাঝি বাড়ীতে।
এঘটনায় আহত বিল্লাল হোসেনের মেয়ে মারিয়া সুলতানা (বিথি) বাদী হয়ে ফারুক মাঝি ও ফিরোজ মাঝি সহ ৮জনকে বিবাদী করে রায়পুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। আহতরা হলেন বিল্লাল হোসেন মাঝি (৪৬), পিতা- মৃত মজিবুল হক মাঝি, বাহার মাঝি (৫০), পিতা- ঐ, হেলোনা বেগম(৪২), স্বামী- বাহার মাঝি, আকলিমা আক্তার বিনা (৩৮), স্বামী- বিল্লাল মাঝি।
রায়পুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি তোতা মিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন, ক্ষতিগ্রস্থদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠান।
প্রত্যক্ষদর্শী আনোয়ার হোসেন মাঝি সহ কয়েকজন গনমাধ্যম কর্মীদের জানান, মনছুর আলী মাঝি বাড়ীতে বাহার এবং বিল্লালদের জায়গা জমি নিয়ে সাবেক চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন মাঝি ও তার পরিবারের সাথে বিরোধ চলে আসছে। গতকাল বুধবার মনছুর আলী মাঝি বাড়ীতে বিল্লাল হোসেন মাঝিদের নিজস্ব জায়গা থেকে প্রতিপক্ষরা গাছ থেকে আম পাড়তে থাকে।
এ সময় বাদীনির জেঠি হেলোনা বেগম আম পাড়ার কারণ জানতে চাইলে, প্রতিপক্ষরা হঠাৎ করে উত্তেজিত হয়ে ফিরোজ, ফারুক, ইমাম হোসেন, বাবুল, দেলোয়ার হোসেন সহ ১০/১২ জন হেলোনা বেগমকে বেধমভাবে পিটাইতে থাকে। আহত হেলোনা বেগমের চিৎকারে বিল্লাল হোসেন, বাহার হোসেন, আকলিমা আক্তার বিথি তাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসলে একই কায়দায় লোহার রড ও চেনী দিয়ে কুপিয়ে ৫জনকে মারাত্বক রক্তাক্ত জখম করে প্রতিপক্ষরা। আহতদেরকে মুমুর্ষ অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে রায়পুর সরকারি হাসপাতালে পরে লক্ষ্মীপুর থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠায় কর্তব্যরত ডাক্তার। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বৃহস্পতিবার সন্ধায় আহত বিল্লাল হোসেন, হেলোনা বেগম, বাহার হোসেন, আকলিমা আক্তার বিনার শারিরিক অবস্থা আশঙ্খাজনক। তাদেরকে আইসিইউ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার দাবি করেন।
এঘটনায় প্রতিপক্ষ আলমগীর হোসেন মাঝি, ফিরোজ, ফারুকদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে, তাদের কাউকে না পাওয়ায় তাদের বক্তব্য দেওয়া সম্ভব হয়নি।
চরআবাবিল ইউপির ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার শাহ আলম হাওলাদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রায়পুর থানার (ওসি) তোতা মিয়া জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিল্লাল মাঝির মেয়ে মারিয়া সুলতানা (বিথি) বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমআইপি/প্রিন্স