ডোবা কিংবা পুকুরে নয়, নিজ তৈরী হাউজের পানিতে লাফালাফি করছে বাহারি রঙের রঙিন মাছ। রয়েছে লাল, নীল, হলুদ, কমলা, বাদামিসহ বর্ণিল মাছের ছড়াছড়ি। এমন উদ্যোক্তা নিজেই খামারী প্রজেক্টের আঙিনায় তৈরী করেছেন হাউজ। তার হাউজে রয়েছে গোল্ড ফিস, কমেট, কৈ কার্ভ, ওরেন্টা গোল্ড, সিল্কি কৈ, মৌলি সহ প্রায় ১০ জাতের মাছ। যা রঙিন বাহারী রঙে ছড়াচ্ছে সৌন্দর্য। কৃষিবিদ চাষা আব্দুল আজিজ কোম্পানীর ছেলে ফরিদ কোম্পানীর গড়ে তোলা এই রঙিন মাছের খামার টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার শালিয়াবহ গ্রামের বাড়িতে দেখতে এখন ভিড় জমে মানুষের। তার স্বপ্ন এই রঙিন মাছের চাষ রাঙিয়ে তুলবে তার জীবন। তরুন এই উদ্যোক্তা বাবার সাথে ছোট থেকেই কৃষি কাজে নিয়োজিত ছিলেন। আধুনিক কৃষিতে প্রশিক্ষণও নিয়েছেন তিনি। তিনি উপজেলার সাগরদিঘী কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করে বাবার কৃষি প্রজেক্টে সহযোগিতার পাশাপাশি উদ্যোক্তা হয়েছেন। তিনি দুই বছর যাবৎ বাবা চাষা আব্দুল আজিজ কোম্পানির খামারী প্রজেক্টের আঙিনায় হাউজ তৈরী করে মাছের পোনাও উৎপাদন করেন। বেশি চাহিদা থাকায় তা বিক্রি করছেন ভালো দামে। কেউ কেউ দেখতে এসেও পছন্দ করে ক্রয় করছেন। তা সৌন্দর্য বাড়াতে অ্যাকুরিয়ামে পালন করছেন। ফরিদ কোম্পানী জানান, ২০১৮ সালে এক বাসায় একটি অ্যাকুরিয়াম শপে রঙিন মাছ দেখে ভালো লাগে তার। এরপর জানতে পারেন মাছগুলি অনেক মূল্যবান। রঙিন মাছগুলো বিদেশ থেকে আনা হয়। বর্তমানে দেশেও এই মাছের চাষ হচ্ছে। সেখান থেকেই তার রঙিন মাছ চাষের পরিকল্পনা মাথায় আসে। তিনি জানান, বছরের শুরুতে মাটিতে গর্ত খুঁড়ে পলিথিন বিছিয়ে একটি হাউজ তৈরি করে অল্প কয়েকটি রঙিন মাছ ছাড়েন। দুই মাসের মধ্যে ছোট মাছগুলো বেশ বড় হয়ে যায়। আরো মা মাছ সংগ্রহ করেন কিশোরগঞ্জ, মোহনগঞ্জ ও ফুলবাড়িয়া থেকে। মা মাছের ডিম থেকে রেণু পোনা উৎপাদিত হয়, যা বাজারে বিক্রি করেন। যারা অ্যাকুরিয়ামের ব্যবসা করেন তারা এই মাছগুলো ক্রয় করেন। বর্তমানে তার খামারে ১০ প্রজাতির মাছ রয়েছে। যার একটি মাছ বছরে প্রায় ৩ হাজার রেণু পোনা দেবে। ৩ থেকে ৪ ইঞ্চি হলে এই মাছ বিক্রি করা হয়। বছরে একবার ডিম দেয় ৭২ ঘন্টার মধ্যে ডিম ফোটে। এ সময় অক্সিজেন দেওয়া থেকে নানা ভাবে সতর্ক থাকতে হয়। ঘাটাইল উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোছা. খাদিজা খাতুন জানান, এ অঞ্চলে রঙিন মাছ চাষের জন্য উপযোগী। এই আবহাওয়ায় মাছ চাষ করা সম্ভব।