পল্টনে গায়েবানা জানাজায় উপস্থিত জনতার উদ্দেশে মির্জা ফখরুল
ভোলায় পুলিশের গুলিতে কর্মী নিহতের শোককে শক্তিতে পরিণত করে সরকার পতন আন্দোলন আরও বেগবান করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানী নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত গায়েবানা জানাজার আগে দেয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জ্বালানিখাতে অব্যবস্থাপনা ও দ্রব্যমূল্য উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে ডাকা কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালনকে ঘিরে গতকাল ভোলায় পুলিশের গুলিতে দলের এক কর্মী নিহত হওয়ার ঘটনায় গায়েবানা জানাজা কর্মসূচি পালন করে বিএনপি।
মির্জা আলমগীর বলেন, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের পুলিশের গুলিতের ভোলায় রক্ত ঝরেছে। ভোলায় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বিনা উস্কানিতে পুলিশ গুলি করেছে। তারা গুলি চালিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আবদুর রহিমকে হত্যা করেছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় নেতা এবিএম মোশাররফসহ ১০০ জন নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার পুলিশ দিয়ে অন্দোলনকে দমন করতে চায়। এদেশের মানুষ কখনো ফ্যাসিবাদী সরকারকে ভয় করে না। আবদুর রহিম নিহতের শোককে শক্তিতে পরিণত করে আন্দোলনকে আরও বেগবান করতে হবে। আন্দোলনের মাধ্যমে এই স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটাতে হবে।
গায়েবানা জানাজায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা। জানাজায় আরও অংশ নেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ আহমেদ বীরবিক্রম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, সদস্য সচিব আমিনুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিন্স, আব্দুস সালাম আজাদ, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাগপা একাংশের সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান ,যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন হাসান, সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানসহ সহস্রাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।