সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ১০:৩০ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
দিল্লি বিমানবন্দরে বাংলাদেশী গার্মেন্টসের রফতানি বাড়ায় ভারতীয়দের আপত্তি নকলায় বিএনপির ৪ নেতানেত্রীকে বহিষ্কার পালিয়ে বাংলাদেশে এলেন আরও ৮৮ বিজিপি সদস্য ১২ দিনে পানিতে ডুবে ১২ শিশুর মৃত্যু অর্থবছরের ছয় মাসে রাজস্ব আহরণ প্রায় ১৪ শতাংশ বেড়েছে: অর্থমন্ত্রী চাঁদপুর সেচ প্রকল্প বাঁধের মাটি ইটভাটায় ব্যবহারের অভিযোগ বরিশালে ৮ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর অভ্যন্তরীন ও দুরপাল্লার বাস চলাচল শুরু : অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আপনাদের সহায়তায় সুস্থ জীবন চাই শ্রীমঙ্গলে সদ্যপ্রতিষ্ঠিত নূরে মদিনা মাদরাসার শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা ও লেখাপড়ার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা ফুলপুরে চেয়ারম্যান প্রার্থী হাবিবের মিছিল

এবিএম মূসার ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী

খবরপত্র অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেট সময় বুধবার, ৮ এপ্রিল, ২০২০

আজ ৯ এপ্রিল প্রখ্যাত সাংবাদিক ও কলমিস্ট এবিএম মূসার ষষ্ঠ মৃত্যু বার্ষিকী। ২০১৪ সালের এই দিনে তিনি বার্ধক্যজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ল্যাবএইড হাসপতালে মৃত্যুবরণ করেন। এই উপলক্ষ্যে আত্মীয় স্বজন, পরিচিত ও গুণগ্রাহীদের নিকট তার রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া কামনা করা হচ্ছে।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং ক্লাবের আজীবন সদস্য এবিএম মূসা ১৯৩১ সালে তার নানার বাড়ি ফেনীজেলার ধর্মপুর গ্রামে জন্ম নেন।  দীর্ঘ ৬৪ বছর তিনি সংবাদপত্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রেখে গেছেন। ১৯৫০ সালে দৈনিক ইনসাফে যোগ দানের মাধ্যমে তার সাংবাদিকতা জীবন শুরু। ঐ বছর তিনি তৎকালিন দৈনিক পাকিস্থান অবজারভারে যোগ দেন। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের পর কর্তৃপক্ষ পাকিস্থান অবজারভার বন্ধ করে দিলে তিনি দৈনিক সংবাদে যোগ দেন। অবজারভার খুলে দেওয়া হলে ১৯৫৪ সালে তিনি সেখানে আবার যোগদেন। ১৯৭১ সাল পর্যন্ত তিনি পাকিস্থান অবজারভারে রিপোর্টার, স্পোর্টস রিপোর্টার, বার্তা সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।   ১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময় বিবিসি, সানডে টাইমস প্রভৃতি পত্রিকার সংবাদদাতা হিসাবে তিনি রণাঙ্গন থেকে সংবাদ প্রেরণ করতেন।স্বাধীনতার পর তিনি বিটিভির  মহাব্যবস্থাপক,মর্নিং নিউজের  সম্পাদক  হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি  স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় নির্বাচনে  সংসদ সদস্য নির্বাচিত হোন। ১৯৭৮ সালে এবিএম মূসা ব্যাংককে অবস্থিত জাতিসংঘের পরিবেশ কার্যক্রমের (এসকাপ) এশিয়া প্যাসেফিক অঞ্চলে  আঞ্চলিক পরিচালক পদে যোগ দেন । দেশে ফিরে  এসে  ১৯৮১ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ প্রেস  ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এবং ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত বংলাদেশ সংবাদ সংস্থার মহাব্যবস্থাপক ও প্রধান সম্পাদক ছিলেন। ২০০৪ সালে তিনি কিছুদিন দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এবিএম মূসা জাতীয় প্রেসক্লাবের চারবার সভাপতি এবং তিনবার সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।তিনি পাকিস্থান সাংবাদিক ইউনিয়নের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং পূর্ব পাকিস্থান সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক ছিলেন। এবিএম মূসা একুশে পদকসহ দেশী বিদেশী নানা পুরুষ্কারে ভুষিত হয়েছেন। এবিএম মূসা  জীবনের শেষদিনগুলোতে একজন দর্শক প্রিয়  আলোচক এবং সংবাদ বিশ্লেষক হিসাবে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের  অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে  গেছেন। তার প্রকাশিত গ্রন্থ “মুজিব ভাই” এবং “আমার বেলা যে যায়”। এ ছাড়াও অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সম্পাদনায় এবিএম মূসা স্মারকগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

ই-খ/খবরপত্র

 




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com