চাটখিল ০২নং রামনারায়নপুর ইউপি নির্বাচনে
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চাটখিল উপজেলার ০২নং রামনারায়পুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চেয়ারম্যান পদে সাবেক ছাত্রনেতা, বর্তমান ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি, আওয়ামীলীগের দুঃসময়ের কান্ডারী, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী মো. নজরুল ইসলাম আওয়ামীলীগ মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে প্রচারণার মাঠে নেমেছেন। প্রতিদিন ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে দলীয় নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ ভোটারদের সাথে সাক্ষাত করে দোয়া ও সমর্থন আদায় করছেন। নেতা-কর্মীরা ছাড়াও সাধারণ ভোটাররা তার আহবানে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে সাড়া দিচ্ছেন। অত্র ইউনিয়নে ত্যাগী, সংগঠক ও কর্মীবান্ধব এই তরুণ নেতাকেই নৌকার যোগ্য কান্ডারী বলে মনে করছেন ইউনিয়নের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা। পাশাপাশি ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের কাছেও তিনি একজন শিক্ষিত, সৎ, যোগ্য ও সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে খুবই জনপ্রিয়। মো. নজরুল ইসলাম ইউনিয়নের মাদবপুর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ও আওয়ামী রাজনৈতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তরুণ ও মেধাবী এই নেতা রামনারায়নপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে ছাত্র রাজনীতির সাথে যুক্ত হন। এরপর চাটখিল সরকারি মাহবুব কলেজ থেকে এইচ.এসসি পাশ করে উচ্চ শিক্ষার জন্য নোয়াখালী সরকারি কলেজে বাংলা বিভাগে ভর্তি হন এবং কলেজ ছাত্রাবাসের ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে রাজনীতির টানে চাকুরী বা বিদেশ না গিয়ে এলাকায় ফিরে এসে রাজনীতি শুরু করেন। তিনি থানা যুবলীগের সদস্য, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সদস্য এবং থানা প্রজন্মলীগের যুগ্ম আহবায়কের দায়িত্ব পালন শেষে বর্তমানে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি পদে সফলতা ও সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করে আসছেন। রাজনৈতিক জীবনে বহু হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ১০/১২ রাজনৈতিক মামলা ছিল এবং তিনি ৪/৫ বার কারাবরণ করেছেন। শুধু তাই নয় বিএনপি-জামাতের সময়ে তিনি দীর্ঘদিন এলাকা ছাড়া ছিলেন। তরুণ এই নেতা শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক হিসেবেও বেশ পরিচিত। তিনি ইউনিয়নের বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠনের সাথে যুক্ত থেকে জনসেবা করে যাচ্ছেন। এছাড়া এলাকার গরীব শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার খরচ, বিভিন্ন সময়ে দুস্থদের চিকিৎসা খরচ এবং দুস্থ মেয়ের বিবাহের খরচসহ বিভিন্ন মসজিদ ও মাদরাসায় দান অনুদান দিয়ে আসছেন। বিশেষ করে করোনাকালীন সময়ে সরকারি অনুদান ছাড়াও ব্যক্তি উদ্যোগে কয়েক’শ পরিবারকে ত্রাণ সহযোগিতা করেছেন। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা জানায়, মো. নজরুল ইসলাম তৃণমূল থেকে রাজনীতি করা কর্মীবান্ধব নেতা। দলের দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের পাশে থেকে সাহস জুগিয়েছেন। রাজনীতির জন্য তিনি বহু বার জেল, জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তার বলিষ্ট নেতৃত্বের কারণে অত্র ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ ঐক্যবদ্ধ, সুদৃঢ় এবং শক্তিশালী। তাই আসন্ন ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন সহ-সভাপতি মো. নজরুল ইসলামই ন্যায্য প্রাপ্য বলে মনে করেন নেতাকর্মীরা। একান্ত সাক্ষাৎকারে মো. নজরুল ইসলাম বলেন, আমার নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে দেশ উন্নয়নের শিখরে পৌঁছে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত উন্নয়নের পদক্ষেপ বাস্তবায়নে ইউনিয়ন পর্যায়ে একজন সহযোগি হিসেবে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতামূলক কাজ করতে চাই। তাই আসন্ন ইউপি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করছি। দল সঠিক মূল্যায়ন করলে আমি দলীয় মনোনয়ন পাবো ইনশআল্লাহ। তিনি বিগত নির্বাচনে নেতাদের আশ্বাসের কথা স্মরণ করে বলেন, ২০১৬ সালের নির্বাচনে আমি দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলাম। পরে দলীয় সিদ্ধান্তে মনোনয়ন প্রত্যাহার করি। তখন নেতারা ২০২১ সালে আমাকে মনোনয়ন দিবে বলে আশ্বাস দেন। তাই নেতাদের আশ্বাস অনুযায়ী এবার দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার প্রত্যাশা করছি। ইনশআল্লাহ আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে অবহেলিত এই ইউনিয়নে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা, জন হয়রানি বন্ধ করার পাশাপাশি একটি আধুনিক ও ডিজিটাল ইউনিয়নে রূপান্তর করবো। এ জন্য সকলের দোয়াও সমর্থন প্রত্যাশা করছি।