গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আজাদুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পত্র-পত্রিকায় মিথ্যা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন। পলাশবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, জামালপুর গ্রামের বাসিন্দা আজাদুল ইসলাম ২ সেপ্টেম্বর রাতে পলাশবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি আমার ছাত্রজীবন থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কর্ণধর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পলাশবাড়ী কলেজ শাখায় ১৯৮৭ সালে দপ্তর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে ছাত্র রাজনীতি শুরু করি এবং তৎকালিন সময়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সম্মানীত সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশে ১৯৯০ সালে রাজপথে আন্দোলন ও সংগ্রাম করি। পরবর্তীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আদর্শ বুকে ধারণে করে ছাত্র রাজনীতি করা অবস্থায় ১৯৯৩ইং সালে পলাশবাড়ী সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে জিএস পদে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হই। পরবর্তী ১৯৯৪ সালে পলাশবাড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। পরবর্তীতে ১৯৯৭ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর কাউন্সিলের মাধ্যমে পলাশবাড়ী উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হই। ২০০৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর হইতে যুবলীগের সভাপতি নির্বাচিত হই। ২০১৬ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারী হইতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পলাশবাড়ী উপজেলা শাখার যুগ্ম সাধারন সম্পাদক দায়িত্বভার গ্রহণ করে অদ্যাবধি বঙ্গবন্ধু’র আদর্শ বুকে ধারণ করে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে দলের ও সামাজিক কর্মকান্ডে সবসময় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছি। বিভিন্ন সময় বিএনপি জামায়াতের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে রাজপথে আন্দোলন করতে গিয়ে কারাগারে গিয়েছি। আজ বর্তমানে আমি যখন বন্ধবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সমাজের বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কর্মকান্ড করে দলকে সুসংগঠিত করে ও সমাজে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে সমাজে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছি, ঠিক সেই মুহুর্তে একটি কুচক্রিমহলের প্ররোচনায় তাজলিমা আক্তার হীরা, মিজানুর রহমান ও ফারুক আকন্দ গংরা আমাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য ও দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারকে ধ্বংস করার জন্য আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়া, পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন কথাবার্তাসহ অপপ্রচার চালাচ্ছে। যাহা আমার সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে আঘাত হেনেছে। তিনি আরো বলেন, আমার বাবা ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। আমার বড় ভাই বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পলাশবাড়ী উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি। ছোট ভাই বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও উপজেলা দোকান মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক। শুধু তাই নয় ছাত্রজীবন থেকে ১৯৮৭ সাল থেকে শুরু করে ১৯৯০ সালের স্বৈরাচার আন্দোলন থেকে শুরু করে অদ্যাবধি আমার মাতৃতুল্য বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বিভিন্ন সময় দলের কর্মকান্ডে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছি, বিভিন্ন সময় কারাবরণ করেছি। আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের এসব বিষয়ের প্রতি সমাজের কিছু কুচক্রিমহল আমাকে সমাজে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এসব অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আমার প্রতিবাদ জানাবার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। আমি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসকল অপপ্রচারের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সাবেক এমপি আলহাজ্ব তোফাজ্জল হোসেন সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও পৌর প্রশাসক আবু বকর প্রধান, সহ-সভাপতি সাইফুলার রহমান চৌধুরী তোতা, শহিদুল ইসলাম সরকার বাদশা, এনামুল হক মকবুল, সাধারন সম্পাদক শামিকুল ইসলাম সরকার লিপন, যুগ্ম সম্পাদক গোলাম সরোয়ার প্রধান বিপ্লব, আওয়ামীলীগ নেতা নির্মলমিত্রসহ আওয়ামী, যুবলীগ ও সংযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।