বিশ্ব রাজনীতির প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে বিএনপির রাজনীতিকে নতুন করে সাজাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
তিনি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া কন্ডিশনাল গৃহবন্দি। তিনি যেদিন জনগণের সামনে বক্তব্য রাখবেন, সেদিনই তিনি মুক্ত হবেন। তারেক রহমান যেদিন দেশে ফিরে জনগণের মধ্যে কথা বলবেন, সেদিন তিনি মুক্ত হবেন। ফলে আজ বিএনপিকে তাদের মুক্তির পথে কী কী বাধা আছে, কী ব্যারিকেড আছে, সেগুলো চিন্তা করে বিএনপিকে রাজনীতি সাজাতে হবে। বিশ্ব রাজনীতি এখন চেঞ্জ হয়ে গেছে। এগুলো অ্যাড্রেস করে আমাদের আগাতে হবে।’ বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এক আলোচনা সভায় ইকবাল হাসান মাহমুদ এসব কথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ‘১৩তম কারামুক্তি দিবস’ উপলক্ষে ভার্চুয়াল এ সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ছাত্রফোরাম ও উত্তরাঞ্চল ছাত্রফোরাম।
টুকু বলেন, ‘২০১৮ সালের নির্বাচনে আমরা গেলাম, গণতন্ত্র রক্ষা করতে নির্বাচনে গেলাম। যেই ফোর্সগুলো আমাদের সময়ে ইমার্জেন্সি এনেছিল, সেই ফোর্সগুলোই তো..। এখন এসব জায়েজ, আমাদের সময়ে জায়েজ ছিল না।’ ‘কারণটা হচ্ছে, আমাদের দল ন্যাশনালিস্ট পার্টি, জিয়াউর রহমান জাতীয় স্বার্থরক্ষায় একটি দল তৈরি করেছিলেন, বেগম জিয়া এর নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং তারেক রহমান ২০০১ সালে দেখিয়ে দিয়েছেন তিনি একজন গেমচেঞ্জার। এ কারণেই বিএনপির নেতৃত্বের ওপর নির্যাতন চলছে। এই নির্যাতনের অংশ হিসেবে বিএনপিকে ধ্বংস করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
২০০৬ সালে নির্বাচনের প্রসঙ্গ বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এই বাংলাদেশেও আমাদের সময়ে আমরা এনক্লুসিভ নির্বাচন করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু অপজিশন করতে দেয়নি। কতকিছু হলো, জাতিসংঘের চিঠি এলো, এরপর একটা বিশেষ সরকার এলো, তারা তাদের মতো থাকল, এরপর তারা তাদের তপ্লিবাহক লোককে ক্ষমতায় বসিয়ে দিয়ে গেল। তিনি অভিযোগ করেন, ‘আওয়ামী লীগ ২০১৪ সালে একতরফা নির্বাচন করল, কোনো ইমার্জেন্সিও হলো না, কিছুই হলো না। যে র্যাব-পুলিশ আমাদের হত্যা করছে গুম করছে, তাদের বিরুদ্ধে তো জাতিসংঘ কিছু বলে না। ঠিক যেমন সিরিয়ায় হচ্ছে।’ ইকবাল হাসান মাহমুদ বলেন, ‘খালেদা জিয়া-ভীতি ও তারেক রহমান-ভীতি কুঁড়েকুঁড়ে খায় সরকারকে।’ ব্যারিস্টার মীর হেলালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় বক্তব্য রাাখেন- সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন ওবায়দুর রহমান চন্দন।