টাকা-পয়সা স্বর্ণ-অলঙ্কার বা অন্যান্য ধন-সম্পদের হিসাব করে আল কুরআনের আটটি খাতে ২.৫০ শতাংশ যে দান করা হয় তার নাম জাকাত। তেমনিভাবে উৎপাদিত পণ্যের যেই জাকাত দেয়া হয় তার নাম ওশর
মহানবী (সা.) সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব। তাঁর পবিত্র জন্মও হয়েছে অলৌকিক পন্থায়। তাঁর জন্মে গোটা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। সৃষ্টি হয়েছে বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনা। পৃথিবীর ইতিহাসে তিনিই একমাত্র ব্যক্তি, যাঁর
মহানবী (সা.)–এর আবির্ভাবের আগে আরবের রাজনৈতিক অবস্থা ছিল নৈরাজ্যে ভরা। গোত্রভিত্তিক সমাজে ভেদাভেদই ছিল প্রধান। কলহ, যুদ্ধবিগ্রহ, হানাহানি লেগেই থাকত। কোনো সামাজিক বা রাজনৈতিক কেন্দ্র না থাকায় আরব সমাজ ছিল
হিজরতের পর মদিনায় যে মুসলিমসমাজ গড়ে ওঠে, তার ভিত্তি হয়েছিল কোরআন ও সুন্নাহর শিক্ষার ওপর। মদিনা রাষ্ট্র বিভিন্ন দিক থেকে অনন্যসাধারণ বৈশিষ্ট্যের অধিকারী ছিল। নিম্নে বৈশিষ্ট্যগুলো তুলে ধরা হলো— সার্বভৌমত্ব
মহানবী হজরত মুহাম্মদ সা: ছিলেন একজন মহান সমাজসংস্কারক। প্রাক-ইসলামী যুগে আরবের সামাজিক অবস্থা ছিল অত্যন্ত শোচনীয়। গোত্র কলহ, যুদ্ধ-বিগ্রহ, মারামারি, হানাহানি, সামাজিক বিশৃঙ্খলার নৈরাজ্যপূর্ণ অবস্থার মধ্যে নিপতিত ছিল গোটা সমাজ।
মানব মুকুটের লেখক মোহাম্মদ এয়াকুব আলী চৌধুরী তার বইয়ের প্রস্তাবনায় লিখেছেন : ‘যে সব মহাপুরুষের আবির্ভাবে এই পাপ-পঙ্কিল পৃথিবী ধন্য হইয়াছে। যাহাদিগের প্রেমের অমুত সেচনে, দুঃখ তপ্ত মানবচিত্ত স্নিগ্ধ হইয়াছে।