নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে বাংলাদেশ। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম সেমিফাইনালে ভুটানকে ৮-০ গোলের বড় ব্যবধানে বিধ্বস্ত করে ফাইনালে উঠেছে বাংলার মেয়েরা। এর আগে ২০১৬ সালে সবশেষ টুর্নামেন্টটির ফাইনাল খেলেছিল বাংলাদেশ। সাবিনা খাতুনের হ্যাটট্রিকে ৮-০ গোলে জিতে ছয় বছর পর ফের ফাইনালে উঠে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। গতকাল শুক্রবার নেপালের কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে প্রথম সেমিফাইনালে বাংলাদেশ জয়ে সাবিনার হ্যাটট্রিক ছাড়াও একটি করে গোল করেন সিরাজ জাহান স্বপ্না, সাবিনা খাতুন, কৃষ্ণা চাকমা, ঋতুপর্ণা চামকা, মাসুরা পারভীন ও তহুরা খাতুন।
ম্যাচের প্রথমার্ধেই দারুণ সাফল্য পায় বাংলাদেশের মেয়েরা। সেমিফাইনালের এই ম্যাচে প্রথম ৪৫ মিনিটে চার গোল আদায় করে নেয় তারা। দ্বিতীয়ার্ধে পায় আরো চার গোল। ম্যাচের প্রথম মিনিটেই এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। মনিকা চাকমার পাসে কোনাকুনি শটে গোলটি করেন সিরাজ জাহান স্বপ্না।
১৮ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সাবিনা। মারিয়া মান্দার বড়ানো বল ধরে গোলটি করেন তিনি। ৩০ মিনিটে বাংলাদেশের পক্ষে তৃতীয় গোল করেন কৃষ্ণা। তার হেড এক ড্রপে জালে জড়ায় বল। পাঁচ মিনিট পর ঋতুপর্ণা করেন চতুর্থ গোল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে পঞ্চম গোল আদায় করে নেয় বাংলাদেশ। ৫৩ মিনিটে সানজিদার দেয়া পাসে সাবিনা গোল করেন। তিন মিনিট পর ম্যাচের ষষ্ঠ গোলটি আসে মাসুরার পা থেকে। ৮৭ মিনিটে বদলি হিসেবে নামা তহুরা করেন সপ্তম গোল। আর ইনজুরি সময়ে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন সাবিনা। ভুটানের সাথে এর আগের চারবারের সাক্ষাতে সব কটি ম্যাচেই জেতে বাংলাদেশ। আগের চার ম্যাচে বাংলাদেশের মেয়েরা দিয়েছিল ১৯ গোল। আজও ভুটান তাদের গোলমুখ আগলে রাখতে পারেনি। রীতিমতো গোল উৎসব করেছে বাংলাদেশ। গত বৃহস্পতিবার ভুটানের অধিনায়ক পেমা চোডেন শেরিং বলেছিলেন, এই ম্যাচটা একতরফা হতে দেবেন না। কিন্তু বাংলাদেশের সামনে পাত্তাই পেল না ভুটানি মেয়েরা। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণে উঠেছে বাংলাদেশ। গোলরক্ষক সঙ্গীতা মঙ্গার কিছু বুঝে ওঠার আগেই ভুটানের জালে জড়ায় প্রথম গোল। মাঠের ইলেকট্রনিক স্কোরবোর্ডে সময় তখন মাত্র ২ মিনিট। দ্বিতীয়বার সাফের ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। ২০১৬ সালে ভারতের শিলিগুঁড়িতে অনুষ্ঠিত আসরে প্রথমবার ফাইনালে খেলেছিলেন সাবিনারা। সেবার সেমিফাইনালে বাংলাদেশ ৬-০ গোলে হারিয়েছিল মালদ্বীপকে। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর ফাইনালে ভারত ও নেপালের মধ্যে জয়ী দলের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।